বায়ার পার্সোনা (Buyer Persona) কি?
বায়ার পার্সোনা একজন আদর্শ কাস্টমারের প্রতিনিধিত্ব করে যা কোনো কোম্পানি তার মার্কেট রিসার্চ এর উপর ভিত্তি করে বের করে অথবা আগের কাস্টমারের ডাটার মাধ্যমে যাচাই করে থাকে ।
একে আপনি আপনার আদর্শ কাস্টমারের প্রোফাইলিং ও বলতে পারেন।
আপনার কোম্পানির/ ব্যবসার জন্য বায়ার পার্সোনা কেনো গুরুত্বপূর্ণ?
বায়ার পার্সোনা আপনার টার্গেটেড কাস্টমার কমিউনিটি কে ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করে।
ফলে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমারের কেমন সার্ভিস দরকার, তাদের রেসপন্স কেমন হতে পারে সব ই যাচাই করা সহজ হয়ে যায়।
ধরে নিলাম আপনার বায়ার পার্সোনা সম্বন্ধে সাধারণ ধারনা আছে।
তবে সেই ধারনা কি আপনার বায়ার পার্সোনার স্পেসিফিক সার্ভিস গুলো যা তাদের দরকার বা তাদের ইন্টারেস্ট এর ব্যাপারে সম্পূর্ণ ধারনা দিতে যথেস্ট?
উত্তর টা আমি ই দিয়ে দিচ্ছি। অবশ্যই না।
এসব ব্যাপারে সঠিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর জন্য অবশ্যই আপনার বায়ার পার্সোনার ব্যাপারে কিছু রিসার্চ করতে হবে, এক্ষেত্রে বায়ার পার্সোনার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্বন্ধে তথ্য যোগাড় করা গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করতে পারে।
“নেগেটিভ” পার্সোনা কি?
বায়ার পার্সোনা যেখানে আপনার আদর্শ কাস্টমার গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করে সেখানে নেগেটিভ পার্সোনা প্রতিনিধিত্ব করে এমন এক গ্রুপের যাদেরকে আপনি আপনার কাস্টমার হিসেবে চান না বা যেই গ্রুপ অফ কাস্টমার আপনার ব্যবসার জন্য টার্গেটেড না।
বায়ার পার্সোনা কে কিভাবে মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন?
ব্যাসিক লেভেলে বায়ার পার্সোনা কে আপনি তাদের আগ্রহের বিষয় অনুযায়ী কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের ক্ষেত্রে বা ম্যাসেজিং এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ধরুন একই কমিউনেকেশন আপনার ডাটাবেইস থেকে গণহারে সবাইকে না পাঠিয়ে আপনার বায়ার পার্সোনাদের ইন্টারেস্ট বা চাহিদা অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সে অনুযায়ী আপনার লিড যোগাযোগটি পরিবর্তন করে পাঠাতে পারেন।
কিভাবে আপনার বায়ার পার্সোনা তৈরী করবেন?
বায়ার পার্সোনা নির্ণয়ের জন্য
- মার্কেট রিসার্চ
- সার্ভে
- টার্গেট অডিয়েন্সের ইন্টারভিঊ
এসব পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করা যেতে পারে।
বায়ার পার্সোনার জন্য তথ্য যোগাড়ের ক্ষেত্রে কিছু প্রাক্টিকাল পদ্ধতি
১। কন্টাক্ট ডাটাবেইস থেকে খুব সহজেই আপনি বের করে ফেলতে পারেন কিভাবে কিছু কাস্টমার বা লিডস আপনার কন্টেন্ট দেখছে।
২। ওয়েব সাইটের জন্য ফর্ম বানানোর ক্ষেত্রে এমন ফরম্যাট অনুসরন করতে পারেন যা পার্সোনা সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন- কোম্পানির সাইজ বা এমপ্লিদের সংখ্যা ইত্যাদি।
৩। আপনার সেলস টিমের ফিডব্যাক নিতে পারেন যে তারা কোন ধরণের কাস্টমার এর সাথে বেশি কথা বলছে।
৪। কাস্টমারদের ইন্টারভিঊ নিতে পারেন। এক্ষত্রে আপনি সেটা ফোনের মাধ্যমে বা সরাসরি ও করতে পারেন।
কাস্টমার আপনার কোন প্রডাক্ট বা সার্ভিস পছন্দ করছে এবং কেন এইসব ব্যাপারে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন।
“The most effective way to build buyer personas is to interview buyers who have previously weighed their options, considered or rejected solutions, and made a decision similar to the one you want to influence. Unfortunately,”
― Adele Revella
বায়ার পার্সোনা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়
কোনো কোম্পানির বায়ার পার্সোনা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা বাঞ্চনীয়।
১। কাস্টমারের ডেমোগ্রাফিক্স
ডেমোগ্রাফিক্স হচ্ছে একজন কাস্টমার সম্বন্ধে কিছু ব্যাসিক ধারনা। যেমন ধরুন কাস্টমারের বয়স, জেন্ডার, বার্ষিক আয় ইত্যাদি সম্বন্ধে সম্যক ধারনা এই পয়েন্টে পাওয়া যায়।
২। কাস্টমারের ব্যাকগ্রাউন্ড
ব্যাকগ্রাউন্ড সম্বন্ধে ধারনা থাকলে কাস্টমারের প্রয়োজন গুলো সহজেই বুঝতে পারা যায়। কাস্টমার আগে কেমন কাজ করেছে এবং কাস্টমার আসলে কি ধরণের সার্ভিস চায় বা তার কি ধরনের সার্ভিস দরকার ইত্যাদি ব্যাপারে ধারনা পাওয়া যায়।
৩। কাস্টমার এবং তাদের সমস্যা বা চ্যালেঞ্জেস কিভাবে আপনার এবং আপনার কোম্পানির সাথে সম্পর্কযুক্ত?
৪। একটা কোম্পানি এবং তাদের কাস্টমার বা টার্গেটেড কমিউনিটির লক্ষ্য বা গোলগুলো কি?
৫। কোম্পানি বা তার কাস্টমারের প্রতিবন্ধকতাসমূহ
একটি পারফেক্ট এবং বিবরণসহ বায়ার পার্সোনা একটি কোম্পানির মৌলিক এবং সম্পূর্ণ কাস্টমারের কাঠামো নিয়ে সঠিক ধারনা দিতে সক্ষম।
“When you combine the Buyer Profile with Buying Insights, you will have clear guidance for the decisions you need to make to win their business. Companies”
― Adele Revella